ANTIGEN (অ্যান্টিজেন) non-safe

ANTIGEN (অ্যান্টিজেন)

 

যা অপরিচিত বা যে সব বিজাতীয় জীবাণু বা অধিবিষ শরীরে প্রবেশ করলে অ্যান্টিবডি সৃষ্টি হয় তাকে অ্যান্টিজেন (Antigen)বলে। 

অ্যান্টিজেন শব্দটি গ্রিক শব্দ থেকে এসেছে। 

(Anti = against এবং genos = birth.) = Antigen. 

অ্যান্টিজেন (Antigen) শব্দটি Antibody Generating এর সংক্ষিপ্ত রুপ।

অ্যান্টিজেন যেকোনো বিজাতীয় পদার্থ যেমন, ভাইরাস, ব্যকটেরিয়া বা এদের নিঃসৃত বিষাক্ত পদার্থ। এগুলো প্রোটিন বা পলিস্যাকারাইড হতে পারে। তবে অ্যান্টিজেন জটিল শর্করা অর্থ্যাৎ বৃহদাকার পলিস্যাকারাইড বা গ্লাইকোপ্রোটিন বা নিউক্লিওপ্রোটিন মিউকোপলিস্যাকারাইড বা বৃহদাকার লাইপোপ্রোটিন ও হতে পারে। অধিকাংশ অ্যান্টিজেন (Antigen) প্রোটিনধর্মী ও জটিল গঠনবিশষ্ট। সাধারণত এদের ওজন 10,000 ডাল্টনের অধিক। অ্যান্টিজেনকে non-self boby বা সংক্রমনকারি বহিরাগত বস্তু বলে। অর্থ্যাৎ যে দেহে সংক্রমণ হয়েছে সে দেহের নয়। এগুলো নির্দিষ্ট প্রাণিদেহে অপরিচিত যেমন, টিউমার, ক্যান্সার, ব্ল্যাক ফাংগাস,সংক্রামক জীবাণু প্রভৃতি।অ্যান্টিজেনের সাথে অ্যান্টিবডি (Antibody) আবদ্ধ বা সংযুক্ত থাকে। 

অ্যান্টিজেনের অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে তবে এর মধ্যে প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে অনাক্রমতায় সাড়া (immunogenicity) সৃষ্টির ক্ষমতা থাকতে হবে। 


অ্যান্টিজেনের বৈশিষ্ট্য (Characteristics of Antigen)

১। অ্যান্টিজেনের যে বিশেষ স্থানে অ্যান্টিবডি যুক্ত হয় তাকে অ্যান্টিজেনিক নির্ধারক স্থান (antigenic determinant site) অথবা এপিটোপ (epitope) বলে। এপিটোপে নির্দিষ্ট রাসায়নিক গ্রুপ থাকে যার সঙ্গে অ্যান্টিবডির অ্যান্টিজেন বাইন্ডিং সাইট (antigen binding site) বা প্যারাটোপ (paratops) যুক্ত হয়।


২। অ্যান্টিজেন নির্ধারক স্থানগুলোকে অন্য কথায় ভ্যালেন্স (valence) বলে; বেশিরভাগ অ্যান্টিজেনের অনেকগুলো অ্যান্টিজেন নির্ধারক স্থান থাকে বলে এগুলোকে মালটিভ্যালেন্ট (multivallent) বলে।


৩। অ্যান্টিজেনের (দুটি কবিশেষ ক্ষমতা থাকে, যেমন— (i) অনাক্রম্যতাকরণ (immunogenecity)- নির্দিষ্ট অ্যান্টিবডি উৎপাদনের ক্ষমতা; ও (ii) বিক্রিয়াকরণ (reactivity) - উত্পন্ন অ্যান্টিবডির সঙ্গে অ্যান্টিজেনের বিক্রিয়া করার ক্ষমতা। যেসব অ্যান্টিজেনের এই দুটি ক্ষমতা থাকে তাদের সম্পূর্ণ অ্যান্টিজেন (complete antigen) বলে।


Post a Comment

0 Comments